রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি খুশি হয়েছি।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। ধনী-দরিদ্র, দেশ-কাল-পাত্র নির্বিশেষে কেউ মাদকের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদ নয়। আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশে মাদকাসক্তির প্রধান শিকার আমাদের যুবসমাজ যা রাষ্ট্রের জন্য বিশাল হুমকিস্বরূপ। কারণ যুবসমাজ জাতির প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নের প্রধান কারিগর। যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে হলে পরিবারসহ সমাজকে উদ্যোগ নিতে হবে। উঠতি বয়সী সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে কি না তা অভিভাবকদের সর্বাগ্রে নজর দিতে আমি অনুরোধ জানাই। হতাশা মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ। তাই হতাশা রোধে যুবসমাজের জন্য নিয়মিত লেখাপড়া, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ জরুরি বলে আমি মনে করি।
মাদক দেশের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়নের একটি বড় অন্তরায়। মাদকের কারণে এদেশে প্রতিনিয়ত বহু পরিবার ধ্বংস হচ্ছে; অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু তাজা প্রাণ। সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা। মাদকের ভয়ঙ্কর আগ্রাসন থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি মাদকবিরোধী ব্যাপক গণসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন এই আন্দোলনেরই একটি অংশ। কোন একক সংস্থার পক্ষে মাদকবিরোধী সংগ্রামে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য দলমতনির্বিশেষে দেশের সকল মানুষকে এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত সকল কর্মসূচির আমি সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ওয়াল্ড ভিশন আয়োজনে
মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে এক বিশাল র্যালী ।
র্যালীর সোলগান ছিল= মাদক মুক্ত দেশ চাই, সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ চাই।
৩নং কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদ
ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস